Miracle Use of Raisin For Skin Care :
একটি স্প্রে বোতল অর্ধেক কিশমিশ পানি দিয়ে পূর্ণ করুন। এবার এতে ১/৪ ভাগ গোলাপজল দিন এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মেশান। রাতে ঘুমানোর আগে মুখ ভালো করে ধুয়ে স্প্রে করুন। শুকিয়ে গেলে আধ ঘণ্টা পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। এক সপ্তাহ ব্যাবহার করে দেখুন উপকার পাবেন।
শুকনো ফল স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি এটা আমরা সবাই জানি, কিন্তু অনেকেই হয়ত জানি না যে কিশমিশ আমাদের ত্বকের জন্য ওষুধের মত কাজ করে। এতে থাকা পুষ্টি উপাদান ত্বকের উজ্জালতা ফিরে পেতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
কিশমিশ কেন এবং কিভাবে ত্বকের জন্য উপকারী?
কিশমিশে রয়েছে আয়রন, ভিটামিন ই, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, পটাসিয়াম, কপার সহ এমন অনেক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বককে সুস্থ রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবার জেনে নিন কীভাবে ব্য়বহার করলে কাজ হবে?
কিভাবে কিশমিশের জল তৈরি করবেন:
এক গ্লাস পানিতে আধা কাপ কিশমিশ ভিজিয়ে রাখুন। সারারাত ঘরের তাপমাত্রায় রেখে দিন। সকালে এই পানি ছেঁকে নিন। এই পানি খালি পেটে পান করলে হজমশক্তি বৃদ্ধি হবে ।
ত্বকের যত্নে কিশমিশ জলের ব্যবহার:
কিশমিশের ফেসপ্যাক:
এক চামচ চালের গুঁড়ার সাথে এক চামচ মধু ভালো করে মিশিয়ে নিন এবার এতে কিশমিশের পানি মিশিয়ে পেস্ট বানান । পেস্টটি পরিষ্কার মুখে লাগান। ১০/১২ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
কিশমিশের পানি টোনার হিসাবে কাজ করে:
একটি স্প্রে বোতল অর্ধেক কিশমিশ পানি দিয়ে পূর্ণ করুন। এবার এতে ১/৪ ভাগ গোলাপজল দিন এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মেশান। রাতে ঘুমানোর আগে মুখ ভালো করে ধুয়ে স্প্রে করুন। শুকিয়ে গেলে আধ ঘণ্টা পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। এক সপ্তাহ ব্যাবহার করে দেখুন উপকার পাবেন।
ভাল ফলাফল পেতে কমপক্ষে ১ মাস কিশমিশের এই পানি ব্যবহার করে দেখুন। ফলাফল নিজের বুঝতে পারবেন। কিশমিশের পানি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। এর ব্যাবহারে ত্বকের শুষ্কতা ও কালো দাগছোপের সমস্যাও দূর হবে। এটি শুধু ত্বকের হারানো উজ্জালাতা ফেরাতেই সাহায্য করে না, টোনার হিসেবে ব্যবহার করলে ত্বকের পিএইচের মাত্রাও বজায় রাখে।