আমাদের নারায়ণগঞ্জ

জীবনে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পর নিজের কেরিয়ার বাছাই এর সিদ্ধান্ত, যেটা নিতে হয় অনেক ভেবে চিন্তে, কেননা একটু ভুল তোমার সারা জীবনের আফসোস হয়ে যেতে পারে। তাই যারা এরকম দ্বিধান্বিত একটা অবস্থায় আছ তারা জেনে নাও কোন কোন দিকগুলো মাথায় রাখবে বিষয় ঠিক করার সময়।

 

১) সাধারণত তোমরা যে বিষয়ে সবচেয়ে বেশি নম্বর পাও সেই বিষয়টাই মাথায় রেখে ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির প্রস্তুতি নাও, কিন্তু এটা মোটেও ঠিক না কারণ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পড়ার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালায় এর পড়ালেখার অনেক অমিল।

 

২) যে বিষয়ে পড়তে চাইছ সেই বিষয়টা কোথায় ভাল পড়ানো হয় সেটার খোঁজখবর ভালভাবে নিয়ে রাখবে।

 

৩) বিষয় ঠিক করার সময় কোন বিষয়ের চাহিদা আছে চাকরির ক্ষেত্রে বা ভবিষ্যতে কোনটার চাহিদা বেশি হতে পারে এটা ভালো করে রিসার্চ করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

 

৪) তোমরা বেশিরভাগ সময়য়ই যে ভুলটা কর তা হল স্বানামধন্য কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য যেকোন বিষয়েই পড়তে রাজী হয়ে যাও। কিন্তু তোমার যে বিষয়ের চাহিদা রয়েছে সে বিষয়টাকে প্রাধান্য দাও, কেননা ৩/৪ বছর পর যখন কলেজ শেষ হয়ে যাবে, এই বিষয়টাই সারাজীবন তোমার সাথে থাকবে তোমার ক্যারিয়ার ঠিক করে দেবে।

 

৫) বন্ধুদের দেখাদেখি একই বিষয়ে পড়তে যেওনা যদি তোমার ভালো না লাগে, কারণ পরে হয়ত আর সিদ্ধান্ত বদলানোর সুযোগ পাবে না।

 

বুঝতেই পারছ জীবনের এই ধাপটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ! আর এখানে একটু ভুল হলে আসলে জীবনে আর কখনই গুরে দারান যায় না। অতএব, য়াগে থেকে অনেক বুঝে শুনে রিসার্চ করে আগাতে হবে, কারণ জীবনটা তোমার, ভালো হলে তোমারই, খারাপ হলেও তোমারই, সবাই শুধু হয় আনন্দ পাবে নাহয় দুঃখ।